শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

ঘোড়াঘাটের রানীগঞ্জ গোহাটে উন্নয়ন, সরকার পাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব 

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

ঘোড়াঘাটের রানীগঞ্জ গোহাটে উন্নয়ন, সরকার পাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব 

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রানীগঞ্জ গোহাটটি। জেলার বৃহৎ হাটগুলোর মধ্যে এটি একটি। প্রতিবছর এই গোহাট থেকে কয়েক কোটি টাকা রাজস্ব পায় সরকার। 

তবে কোটি টাকা রাজস্ব দেয়া এ হাটে হয়নি লাখ টাকার উন্নয়ন। বাজারের মাঝ থেকে হাটের অবস্থান স্থানান্তর হলেও, ছিল না রাস্তা, শৌচাগার এবং হাটে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের রাত্রী যাপন করার নির্দিষ্ট স্থান। 

তবে দীর্ঘ কয়েকযুগ পর যেন নবরূপে সাজছে ঐতিহ্যবাহী রাণীগঞ্জ গোহাট। মহাসড়ক থেকে হাটে যাবার জন্য তৈরি করা হচ্ছে আধুনিক আরসিসি রাস্তা। হাটে আসা গবাদিপশু ক্রেতা বিক্রেতাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে শৌচাগার। এছাড়াও হাটে আসা ব্যক্তিদের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে একটি মসজিদ এবং হাটে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা গরু, ছাগলসহ অন্য প্রাণিদের সহজেই পানি পান করানোসহ গোসল দেয়ার জন্য ইট-সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে পানি ধরে রাখার হাউজ। 

এসবের ফলে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা হলো এ হাটে। এতে করে হাটটিতে বৃদ্ধি পাবে ক্রেতা-বিক্রেতাসহ গবাদিপশু ব্যবসায়ীদের উপস্থিতি। বাড়বে কেনা-বেচা। ভোগান্তি কমার পাশাপাশি বাড়বে সরকারের রাজস্ব। 

ঘোড়াঘাট উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, রাণীগঞ্জ গোহাটটির উন্নয়ন কাজের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে ২ কোটি টাকা। দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে হাটটিতে যাতায়াতের জন্য তৈরি করা হচ্ছে ১ হাজার মিটার আরসিসি রাস্তা। গত ১১ অক্টোবর এ রাস্তা উন্নয়ন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছে ঘোড়াঘাট ইউএনও রফিকুল ইসলাম। 

স্থানীয় তালেবুর রহমান বলেন, অনেকদিন পর হাটের উন্নয়ন হচ্ছে। নতুন রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণের অনুরোধ জানাচ্ছি। নচেৎ রাস্তাটি পরবর্তীতে ভেঙে যেতে পারে। 
সংশ্লিষ্ট ৩নং সিংড়া ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দেশের সব জেলার ব্যবসায়ী এই হাটে আসেন।  

হাটটি থেকে সরকার প্রায় ১৮ কোটি টাকা রাজস্ব পায়। ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন ফান্ডে ১৫ শতাংশ হিসেবে আমরা প্রায় ২ কোটি টাকা পেয়েছি। সেই টাকা দিয়ে রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। এছাড়াও হাটের ভেতরে ৯টি শৌচাগার তৈরি করা হয়েছে। হাটের উন্নয়নে আমরা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। বৃহৎ এ হাটের উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান থাকবে।

টিএইচ